জ্ঞানঅর্জনে দক্ষতা কী?
জ্ঞান অর্জনে দক্ষতা অর্থাৎ বুদ্ধিমত্তার সহিত জ্ঞান অর্জন করা। যে দক্ষ সে জ্ঞান অর্জনের জন্য বাছাই করে এমন বিষয় সমূহ যা পড়ার জন্য উপযোগী। এ সকল গুণাবলী হল বিজ্ঞতার পথের দ্বার। আমরা এমন ব্যক্তিকে পণ্ডিত বা বিদ্বান বলে অবিহিত করে থাকি। এমন জ্ঞান আমাদেরকে আমাদের কর্ম জীবনে এবং ব্যক্তিগত জীবনে সাফল্য অর্জনে নির্দেশনা প্রদান করবে।
এটি
চাবির মত কাজ করে যা সাফল্য, আর্থিক সুরক্ষা, পার্থিব দৃঢ়তা এবং সুখের দ্বার উন্মোচন
করবে এই জীবনে।
জ্ঞানী
এবং বিদ্বান ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্য সমূহ:
জ্ঞানীগণ
তারা, যাঁর অনেক ভাল বা সদগুণ রয়েছে। তাদের হয়তঃ অনেক/প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত ডিগ্রী
নেই, কিন্তু তারা জ্ঞানকে ব্যবহার করবে এভাবে যে তাদের ভাল কাজ করতে হবে এবং তাদের
জীবনকে কখনও তারা বিশৃঙ্খল করে তুলবে না।
বিদ্বান
ব্যক্তিগণ হলেন তারা যে ব্যক্তির অনেক জ্ঞান রয়েছে, কিন্তু হয়ত বেশি পরিমাণ ভাল গুণ
সমূহ নেই। তারা শিক্ষিত, কিন্তু তাতে কোন নিশ্চয়তা নেই যে তারা তাদের জীবনকে বিশৃঙ্খল
করে তুলবে না।
তাই
আমাদের উচিত জ্ঞানী এবং বিদ্বান উভয়ই হবার চেষ্টা করা তাতে যে কোন কার্য সম্পাদনের
ক্ষেত্রে আমরা নিজেদের এবং অন্যদের ও সাহায্য করতে পারি বিশৃঙ্খলা বা কোন বিষয় সমূহ
নিয়ে তালগোল বা বিভ্রান্তির অবতারনা এড়িয়ে।
একজন
বিদ্বান ব্যক্তির গুণাবলী সমূহ:
১।
তারা শিখতে, পড়তে, শুনতে এবং জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে চায় যা শিক্ষার জন্য সঠিক।
২।
তারা মনে রাখে যা তারা শিখেছিল ও যখন তুমি সত্যিকারেই কোন বিষয় বোঝ, তুমি তা ভাল ভাবেই
মনে রাখতে পার। পুনঃ পুনঃ দেখা বা শেখা সব সময় আমাদের ভাল ভাবে স্মরণ রাখতে সাহায্য
করে।
৩।
তারা সব সময় প্রস্তুত কী তারা শিখেছে বলার জন্য: এর অর্থ হল আমাদের নোট খাতা না খুলেই,
কী বলতে হবে তা জানা, বিশেষ রূপে ধর্ম, যা কখনও পরিবর্তন হয় না। পার্থিব জ্ঞানের ক্ষেত্রে,
বিষয় বস্তু পরিবর্তিত হতে থাকে প্রযুক্তির উন্নতির কারণে। তাই আমাদের উচিত গুরুত্বপূর্ণ
বিষয় সমূহের কারণ জেনে এবং বোঝার মাধ্যমে শেখা।
৪।
তারা কি শেখা হয়েছে তা মন দিয়ে খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করে: এর অর্থ পরিস্কার রূপে পুরো
শেখা জিনিস তাদের মনের মধ্যে ধারণ করা। তাতে তারা তাড়াতাড়ি শেখা জ্ঞান ব্যবহার করতে
পারে যদি তারা ব্যবহার করতে চায়। এটার কারণ তারা মনোযোগ দিয়ে এবং যুক্তির সাথে বিষয়ের
খুঁটি নাটি দেখে বা নিরূপণ করে থাকে।
৫।
তারা যা শিখেছে তার উপর ভিত্তি করে চলে সত্যিকারের বিজ্ঞতার মাধ্যমেঃ এটি হয় যখন চিত্ত
এবং জ্ঞান এক হয়। তুমি এটি দেখবে তৃতীয় জ্ঞান এবং অনুশীলনে একই রূপে তা বোঝা বা অনুকরণ
করা। এই গুণ পুরোটি ঘটতে পারে মন দিয়ে ধ্যান অনুশীলনের মাধ্যমে তাতে তোমার মন উজ্জ্বল
হয় সত্য জ্ঞান এর সাথে যা তোমাকে সাহায্য করে কোন কিছু পরিস্কার রূপে দেখার জন্য,
যা প্রকৃত পক্ষে সঠিক।
কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।